বাংলাদেশ-ভারত ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে আগামী ২৯ মে। এদিন মৈত্রী ও বন্ধন শুরু হলেও ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে মিতালী এক্সপ্রেস চলবে ১ জুন থেকে। সে লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল ৮টা থেকে ভারতগামী ট্রেন মৈত্রী, বন্ধন ও মিতালী এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে। শুধুমাত্র কমলাপুর ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে এসব ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে।
এর বাইরে কোথাও এসব ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয় না। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিকিট দেওয়া হয়। পাসপোর্টের মূলকপি দেখিয়ে নির্দিষ্ট ফরমে অগ্রিম টিকিট চেয়ে আবেদন করতে হবে।
আজ সকাল ৮টা থেকে এসব টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে বলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) নাহিদ হোসেন খান নিশ্চিত করেছেন। গতকাল সোমবার (২৩ মে) রেল ভবনে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তারিখের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। আগামী ২৯ মে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল। এছাড়া মিতালী এক্সপ্রেস যাত্রী পরিবহন করবে ১ জুন থেকে।
২০২০ সালের মার্চে রেল যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার আগে মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকা-কলকাতা রুটে সপ্তাহে পাঁচদিন ও বন্ধন এক্সপ্রেস খুলনা-কলকাতা রুটে সপ্তাহে দুইদিন চলতো। মিতালি এক্সপ্রেস ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে সপ্তাহে চারদিন (এনজেপি) চলাচল করবে।
রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এ মাসের শেষ দিকে ভারত সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সেসময় তিনি ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সাথে যৌথভাবে নয়াদিল্লির রেল ভবন থেকে মিতালী এক্সপ্রেস চলাচলের উদ্বোধন করবেন।
ভাড়া
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে সোম ও বৃহস্পতিবার মিতালী এক্সপ্রেস ছেড়ে যাবে। ঢাকা থেকে ছাড়বে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে এবং ভারতে পৌঁছাবে সকাল ৭টা ৫ মিনিটে। ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়বে রবি ও বুধবার। ট্রেনটি ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়বে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছাবে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে। এর মধ্যে ট্রেনটি দিনের বেলা ৪৫৬ আসন নিয়ে ও রাতে ৪০৮ আসন নিয়ে চলাচল করবে।
এই পথের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে এসি চেয়ার দুই হাজার ৭০৫ টাকা, এসি সিট তিন হাজার ৮০৫ টাকা ও এসি বার্থ চার হাজার ৯০৫ টাকা। এর বাইরে ৫০০ টাকা ভ্রমণ কর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চলাচল শুরু হলে ট্রেনটিতে চিলাহাটি স্টেশন থেকেও যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে চিলাহাটি থেকে নিউ জলপাইগুড়ির ভাড়া হবে এক হাজার ২৩৫ টাকা।
মৈত্রী এক্সপ্রেস
ট্রেনটি সপ্তাহে চারদিন (বুধবার, শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার) ঢাকা থেকে কলকাতা যায়। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে সকাল সোয়া ৮টায় ছেড়ে কলকাতা চিতপুর স্টেশনে পৌঁছায় বিকেল ৪টায়। কলকাতা থেকে ঢাকা আসে সপ্তাহে চারদিন (সোমবার, মঙ্গলবার, শুক্রবার ও শনিবার)। কলকাতার চিতপুর স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছায় বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে।
২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মৈত্রী এক্সপ্রেসের টিকিটের দাম পুনর্নির্ধারণ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ূন কবীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ অনুযায়ী, ঢাকা-কলকাতা এসি সিটের ভাড়া তিন হাজার ৫০৫ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া দুই হাজার ৫০৫ টাকা। এক থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের জন্য ৫০ শতাংশ ছাড় রয়েছে। এক্ষেত্রে পাসপোর্ট অনুসারে বয়স নির্ধারিত হবে। সিঙ্গেল কেবিনে তিনটি সিট ও ডাবল কেবিনে ছয়টি সিটের টিকিট দেওয়া হয়।
বন্ধন এক্সপ্রেস
এই ট্রেনটি খুলনা-কলকাতা রুটে সপ্তাহে দুইদিন (রবিবার ও বৃহস্পতিবার) চলাচল করবে। ট্রেনটিতে এসি সিট ও এসি চেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে। খুলনা-কলকাতার এসি সিটের ভাড়া দুই হাজার পাঁচ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া এক হাজার ৫০৫ টাকা। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ভাড়া হবে মূল ভাড়ার ৫০ শতাংশ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।